ঢাকা,শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

কক্সবাজার পৌরসভার নির্বাচন ১২ জুন, ম্ভাব্য প্রার্থীদের তোড়জোড়

কক্সবাজার প্রতিনিধি ::  কক্সবাজার পৌরসভার নির্বাচন আগামী ১২ জুন। গত কয়েকদিন আগে নির্বাচন কমিশন নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে শুরু হয়েছে তোড়জোড়। ইতোমধ্যে সম্ভাব্য প্রার্থীরা নিজেদের জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দোয়া ও আশীর্বাদ চেয়ে প্রচারণা শুরু করেছেন। নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ১৬ মে মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষ তারিখ, বাছাই ১৮ মে, প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২৫ মে এবং ভোটগ্রহণ ১২ জুন।

১২টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত কক্সবাজার পৌরসভার সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৮ সালের ২৫ জুলাই। নির্বাচনে মেয়র পদে জয়লাভ করেছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নৌকার মনোনীত প্রার্থী মুজিবুর রহমান। সূত্র জানায়, এবারও তিনি মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে যাচ্ছেন। তবে বিএনপি–জামায়াতের পক্ষ থেকে মেয়র পদে এখনও কেউ প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা না দিলেও কাউন্সিলর পদে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের অনেক নেতা দোয়া চেয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারণা চালাচ্ছেন। গত নির্বাচনে মেয়র পদে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের প্রার্থীসহ মোট ৫ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এছাড়া ১২টি সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৬৪ জন এবং ৪টি সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

বঙ্গোপসাগর ও বাঁকখালী নদীতীরে অবস্থিত কক্সবাজার পৌরসভার বর্তমান আয়তন ৩২ দশমিক ৯০ বর্গকিলোমিটার। ১৮৬৯ সালের ১ এপ্রিল গঠিত হয় কক্সবাজার পৌরসভা। ভোটাররা বলছেন, অতীতে যাদেরকে পাশে পেয়েছেন তাদেরকে ভোট দেবেন। তবে ভোট নিয়ে শংকার কথাও জানান অনেকে। আবার এই নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে কীনা– তা নিয়ে সন্দিহান অনেকে।

কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের বিগত কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল হক মুকুল জানান, এবারও মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে যাচ্ছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান মেয়র মুজিবুর রহমান। আশা করা যায়, তিনি আবারও বিপুল ভোটে মেয়র নির্বাচিত হবেন।

তবে এ নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে না বা দলীয়ভাবে কোন প্রার্থী দেবে না বলে জানান জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শামীম আরা স্বপ্না। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। তাই বিএনপি এই নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

পাঠকের মতামত: